ওসির জিজ্ঞাসায় ওই কিশোর জানায়, ‘আমি বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসিতে পড়ি। পাশাপাশি একটি ইন্টারন্যাশনাল কল সেন্টারে খণ্ডকালীন কাজ করি। বন্ধুদের ফাঁদে পড়ে গাঁজা খেয়ে আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দিন।’ পরে ওসি ওই কিশোরকে ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী কারাগারে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট এসআইকে নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ যুগান্তরকে বলেন, শুধু একটি ঘটনাই নয়। কিশোর গ্যাং সদস্যরা প্রতিনিয়ত নানা অপকর্মে লিপ্ত। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত হাতিরঝিল এলাকা থেকেই ২৩০ কিশোরকে আটক করেছি। এদের মধ্যে ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী ২৬ জনকে আদালতে পাঠানো হয়। মাদকসহ নানা অপরাধে ১২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়। অন্যদের সতর্ক করে অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপকর্মের শেষ নেই। এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা সংঘটিত করছে না। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো অপরাধবোধ কাজ করছে না। গ্রেফতারের পর অপরাধের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা থাকছে নির্বিকার।
0 Comments